বৃদ্ধা নারীর নির্যাতনের অভিযোগ
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের আশ্রয়ে বসবাস করছিলেন একজন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা নারী। শনিবার বিকেল ৪টায় মোসা সমের্তবান নামের বৃদ্ধা মহিলা দুমকি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, “২০১০ সালে আমার স্বামী আব্দুল বারেক সিকদার মারা যাওয়ার পর থেকে বহু কষ্টে সন্তানদের আগলে রেখেছি। অনেক কষ্ট-ক্লেশ করে ৫ ছেলে ও ১ মেয়েকে মানুষ করেছি।”
তার বড় ছেলে মোঃ সেলিম সিকদার ছোটবেলা থেকেই দুষ্ট ও বেয়াদব প্রকৃতির ছিলেন বলে অভিযোগ করেন বৃদ্ধা মহিলা।
তিনি দাবি করেন, “তার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিদেশে (সৌদি) পাঠিয়ে দিয়েছি। ওখানে গিয়েও মারপিট করে জেল পর্যন্ত খেটেছে।”
অভিযোগ অনুযায়ী, বৃদ্ধা মহিলা ও তার পরিবারের বাসায় হামলা ও নির্যাতনের ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এই অভিযোগের বিচারে অনুমান করা হচ্ছে বাসার এক অংশ বিক্রি করার পর এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের উপর দাবি দিয়েছেন মোঃ সমের্তবান।
বৃদ্ধা মহিলা অভিযুক্ত করেছেন, “আমি অবস্থান করার জন্য অনেক কষ্ট করি, কিন্তু হামলা, নির্যাতনের ভয়ে ছোট ছেলে ও মেয়েকে মহামারি ও পারিবারিক অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছি।”
প্রশাসনের নিকট তার সুষ্ঠু ও ন্যায্য বিচারের আশা জানিয়েছেন বৃদ্ধা মহিলা।
মামলাটি সম্পর্কে জেলার পুলিশ অধিকারীদের কাছে অভিযোগ করেছেন মোঃ সমের্তবান।
মোঃ জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকি প্রেসক্লাবের সভাপতি, সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠান সম্পাদনের জন্য উদ্বুদ্ধ ছিলেন এবং বৃদ্ধা মহিলার অবস্থা সম্পর্কে আদালতে ন্যায্য বিচার চাইলেন।
বিভিন্ন অভিযোগ ও জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কিত আলোচনা ও মামলার সঠিকভাবে প্রতিপাদনের জন্য প্রশাসনের দিকে তাদের আশা জানিয়েছেন তিনি।