 
																
								
                                    
									
                                 
							
														
বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী লামিশা ইসলাম অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নাসিরুল ইসলামের মেয়ে বলে জানা গেছে।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, “আমাদের একজন সহকর্মীর মেয়ে মারা গেছেন।” পরে জানা যায়, সেই মেয়েটিই লামিশা ইসলাম।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লামিশাকে নিয়ে এক আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ছোট বেলায় মা হারা পরিবারে লামিশারা ছিল দুই বোন। হঠাৎ আগুনে আবারও বিধ্বস্ত হলো এ পরিবারটি।”
সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আরও লিখেছেন, “২০১৮ সালে হঠাৎ স্যারের সহধর্মিণী শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। স্যারের দুজন কন্যা। তারা তখন বয়সে অনেক ছোট ছিলো। আত্মজাদ্বয়ের দিকে তাকিয়ে স্যার পুনর্বার দ্বার পরিগ্রহ করেননি। স্যারের কন্যাদ্বয় ক্রমান্বয়ে স্বাবলম্বী, আত্মপ্রত্যয়ী, মেধাবী সন্তান হিসেবে স্যারের স্নেহমমতায় বড় হয়ে উঠে।”
২৭ ফেব্রুয়ারি লামিশার সাথে সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর দেখা হয়েছিল। তিনি লিখেছেন, “তখন ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারিনি মৃত্যু তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।”
২৯ ফেব্রুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স-এ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে নাসির স্যারের কন্যা আটকে পড়েছে বলে খবর পান সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
আইজিপির মিডিয়া ব্রিফিং থেকে তিনি জানতে পারেন যে, “আমাদের একজন সহকর্মীর কন্যা ঐ ভবনে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুবরণ করেছেন।”
সুদীপ কুমার চক্রবর্তী লামিশার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেছেন এবং নাসির স্যার ও তার ছোট মেয়ের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় নিহত ৪৫ জনের প্রতি গভীর শোকপ্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা পোষণ করেছেন তিনি।
