কতিপয় মুসলিম বিশ্বাস করেন যে, রমজান মাসের প্রথম রাতে চন্দ্রগ্রহণ এবং ১৫তম দিন সকালে সূর্যগ্রহণ হলে সেই মাসেই ইমাম মাহদি আগমন করবেন। তারা এ মর্মে দারাকুতনিতে মুহাম্মাদ বিন আলী থেকে বর্ণিত একটি হাদিস পেশ করেন।
অন্যদিকে, অনেক আলেম এই হাদিসটিকে জাল বলে মনে করেন। তারা যুক্তি দেন, হাদিসটির সনদ দুর্বল এবং এর বর্ণনাকারীদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এছাড়াও, ইসলামী শরীয়তের কোথাও রমজান মাসে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সাথে ইমাম মাহদির আগমনের সম্পর্ক স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
সুতরাং, রমজান মাসে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সাথে ইমাম মাহদির আগমনের সম্পর্ক নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
তবে, এটা সত্য যে, ইমাম মাহদির আগমনের ব্যাপারে অনেক নিদর্শন ও বর্ণনা প্রচলিত আছে।
আরও পড়ুন, ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি!
ইমাম মাহদি ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। তিনি একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে পরিচিত যিনি পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন। ইমাম মাহদির আগমন সম্পর্কে ইসলামের বিভিন্ন শাখায় বিভিন্ন মতবাদ প্রচলিত আছে।
ইমাম মাহদির নাম ও বংশ:
ইমাম মাহদির জন্ম ও বেড়ে ওঠা:
ইমাম মাহদির আগমন:
ইমাম মাহদির দায়িত্ব:
ইমাম মাহদির সম্পর্কে সতর্কতা:
উৎস:
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
ইমাম মাহদির আগমনের সময় সম্পর্কে ইসলামে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। হাদিস ও বর্ণনায় ইমাম মাহদির আগমনের কিছু নিদর্শন বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু কোন নির্দিষ্ট তারিখ বা সময় উল্লেখ করা হয়নি।
ইমাম মাহদির আগমনের কিছু নিদর্শন:
ইমাম মাহদির আগমনের সময় সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ:
আরও পড়ুন, ত্বক ফর্সা করার উপায়
ইমাম মাহদির আগমন ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামের বিভিন্ন শাখায় ইমাম মাহদির আগমন সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ প্রচলিত আছে।
ইমাম মাহদির আগমনের দলিলসমূহকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১) কুরআনের আয়াত:
এই আয়াতে “তোমাদের মধ্যে যারা নেতৃত্ব দান করে তাদের আনুগত্য করো” এই বাক্যটিকে ইমাম মাহদির সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করেন অনেকে।
এই আয়াতগুলোতে “যুল-ক্বারনাইন” এর গল্প বলা হয়েছে। অনেকে মনে করেন, যুল-ক্বারনাইন আসলে ইমাম মাহদি।
২) হাদিস:
সহীহ মুসলিম: “রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘কিয়ামতের পূর্বে অবশ্যই আমার বংশধর একজন ব্যক্তি আসবে। তার নাম আমার নামের মতো এবং তার পিতার নাম আমার পিতার নামের মতো হবে। সে পৃথিবীকে পূর্ণ করবে ন্যায়বিচার ও সমতায়, যেমনটি পূর্বে এটি পূর্ণ হয়েছিল অন্যায় ও অত্যাচারে।'”
সুনানে আবু দাউদ: “রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘মাহদি আমার বংশধর। তার মুখ উজ্জ্বল হবে এবং তার কপাল প্রশস্ত হবে।'”
৩) ইতিহাস:
আমাদের উচিত নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে ইমাম মাহদি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা এবং ধৈর্য ধরে তার আগমনের অপেক্ষা করা।
আমার সকাল ২৪ পত্রিকার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন