বঙ্গোপসাগরে মিধিলির প্রভাব বাড়তে পারে, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা বঙ্গোপসাগরে বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যে অনুসারে, রোববার (২৬ নভেম্বর) মধ্যে মিধিলি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এটি পরবর্তীতে একটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ ধারণ করতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘মিগজাউম’, যা মিয়ানমারের দেওয়া হয়েছে। এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের শক্তির বিষয়ে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মোস্তফা কামাল পলাশ অনুমান করেছেন।
তারা জানান, বিশ্বের প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো সূচনা দিয়েছে যে, ২৫ থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপে লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা এবং ভারতীয় উপমহাদেশের ওপর সাব-ট্রপিকাল জেট স্ট্রিমের প্রভাবে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে ২৮ থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে। আর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা ২৯ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকার জেলা এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো এলাকায় আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে এটির। আর আইএমডি এমনটি উল্লেখ করেছে যে, ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আর মিগজাউম আনলে তা হবে বাংলাদেশে চার নম্বর ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত। বর্তমানে লঘুচাপটি বাংলাদেশ উপকূল থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি উপকূলে আঘাত আনতে পাঁচ থেকে সাত দিন সময় নিতে পারে।