শাহ ফুজায়েল আহমদ (সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি) :
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অপার সম্ভাবনার স্বপ্ন নিয়ে সুদূর আমেরিকার মিশিগান থেকে যাত্রা শুরু করে ‘ ইউ এস এ – বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম ‘ নামের সাহিত্য সংগঠনটি। যার হাত ধরে এই সংগঠনটি যাত্রা করে, তিনি হলেন বাংলাদেশের এক বিস্ময় বালক, বৃহত্তর সিলেটের সন্তান জনাব শাহ্ মোঃ সফিনূর । যিনি জীবন-জীবীকার সংগ্রামে সুদূর আমেরিকায় থাকলেও আপন মাটি-মানুষের ভালোবাসা আর সাহিত্যের টানে গড়ে তুলেছেন এই সাহিত্য সংগঠন। কারণ তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, সাহিত্যের মাধ্যমে যতটা দেশ এবং জাতি প্রেমের বোধ স্থায়িত্ব লাভ করে, অন্য কোনো মাধ্যমে তা অর্জিত হতে পারেনা।
সময়ের সাথে সাথে আলো ছড়াতে থাকে ‘ ইউ এস এ – বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম। ‘ অতি অল্প সময়ের মধ্যে লেখক-কবিদের ভালোবাসায় সিক্ত হয় সংগঠনটি। বর্তমান সময়ের লেখক-কবিদের প্রাণের প্রিয় সাহিত্য সংগঠনের স্থান দখল করে নিয়েছে একজন শাহ্ মোঃ সফিনূর প্রতিষ্ঠিত ‘ ইউ এস এ- বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম।’
এপর্যন্ত দু’দুটি সফল সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করে তাঁর সক্ষমতার সাড়া জাগিয়েছে সাহিত্য সমাজে।
সদ্য সমাপ্ত ‘ ইউ এস এ- বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম’ সাহিত্য সম্মেলন এবং পদক প্রদান অনুষ্ঠান-২০২৪, অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৬ ও ২৭ এপ্রিল,২০২৪। অনুষ্ঠানের ভেন্যু ছিল ঐতিহ্যবাহী সিলেট মহানগরীর ‘মুসলিম সাহিত্য পরিষদ’– এর হলরুম। অনুষ্ঠানে মনোনীত লেখক-কবিদের মাঝে সম্মাননা স্মারক হিসাবে পদক, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং সকল লেখক, কবি, সাহিত্যিকদেরকে ‘সাহিত্য উপহার’ হিসাবে কবি- ব্যাগ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সনামধন্য মেয়র জনাব আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
ইউ এস এ- বাংলা’ আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরামের পক্ষথেকে মেয়র জনাব আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন।
@ হে সিলেটের নগর পিতা —-
সিলেট একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নগরী। এই মহানগরের পরতে পরতে মিশে আছে বঙ্গের প্রাচীন ইতিহাস। এখানেই পরাজিত হয়েছে অত্যাচারী রাজা গৌরগোবিন্দ, এখানেই আঁকিকা দেয়ার অপরাধে মুসলিম প্রজা বুরহানুদ্দীনের শিশুপুত্র হয়েছে দ্বিখণ্ডিত। এই শ্রীহট্টে প্রকাশ্যে নরবলি হতো দেবতা- তুষ্টি কল্পে। প্রভাবশালী রাজা গৌরগোবিন্দের সীমালঙ্ঘন, প্রজা অত্যাচারের সমুচিত শিক্ষা দিতে হজরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রঃ) ৩৬০ জন সহযোদ্ধা নিয়ে জায়নামাজকে কিস্তি বানিয়ে উত্তল সুরমা নদী পার হয়েছিলেন। এই সেই সিলেট, আজো যার স্মৃতি বহন করে।
ঐতিহ্যের ধারাবাহিতায় প্রাচীন শ্রীহট্টে বর্তমান সিলেট নগরীতে ই গড়ে উঠেছিল ব্রিটিশ-ভারতের ‘বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পরিষদ’। সেই ‘ মুসলিম সাহিত্য পরিষদ’– এর অডিটোরিয়ামে সাহিত্যের ই অনুষ্ঠানে আগত লেখক-কবি- সাহিত্যিকদের সম্মানে আতিথেয়তা করে ইতিহাসের সারথি হলেন। আপনাকে অভিনন্দিত করতে পেরে আমরা ধন্য হলাম।
হে ইতিহাসের প্রবাদ-পুরুষ —-
আপনার বর্ণাঢ্য জীবন, আপনার সাহিত্যপ্রিয়তা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমরা আরো ভিষণ মুগ্ধ হয়েছি আপনার আতিথেয়তায়। আলোকিত হয়েছে সিলেট সহ সমগ্র বঙ্গদেশ। আপনাকে অনুসরণ করে যদি সমাজের ভিত্তশালী, দায়ীত্ববান জনপ্রতিনিধি এবং অপরাপর সমাজপতি ব্যক্তি-সাধারণ মাটি-মানুষ-মাতৃভাষার আপনজন লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের পাশে দাড়ায়, সাহিত্যের অগ্রযাত্রা তরান্বিত করে, তবে তা জাতীয় জীবনে এক মহা মাইলফলক হতে পারে।
@পরিশেষে বলবো —
একজন সফল নগরপিতা হিসাবে সাহিত্যের প্রতি অণুরক্ততা দেখিয়ে আপনি যে আতিথেয়তার নজির স্থাপন করলেন, তা সত্যি বিরল। সিলেট নগরবাসীর পক্ষথেকে আপনার এই আতিথেয়তা সাহিত্য সমাজে বহুদিন আলোচিত হতে থাকবে।
ইউ এস এ- বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম’ -এর পক্ষথেকে আপনাকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন। আপনার অমিত সাফল্য, সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
ইউ এস এ-বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরাম’ পরিবার।