পুলিশের তথ্যানুযায়ী, ঢাকার তিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তিনটি গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের নাম হলো জুঁই আক্তার চাঁদনি (১৮), রুবিনা রিমি (২২), এবং মুসকান মিম (২৩)। এই ঘটনা মেধার কোনো শঙ্কা নেই বলে অবস্থানিক পুলিশ জানিয়েছে।
**জুঁই আক্তার চাঁদনি**:
– জুঁই আক্তার চাঁদনির বাড়ি রংপুরের তাজহাট থানার আদর্শপাড়া গ্রামে অবস্থিত। তার বাবার নাম হারুন অর রশিদ।
– পুলিশের প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, জুঁই আক্তার চাঁদনি একা ছিলেন তার স্বামী রিংকু কে নিয়ে।
– স্বামী রিংকুর মোবাইল ফোনে কোনো আপত্তিকর ছবি দেখে সন্দেহ হলো। তারপর তারা মধ্যরাতে ঝগড়াঝাঁটি করেন। পরবর্তীতে রিংকু আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হয়।
**রুবিনা রিমি**:
– রুবিনা রিমির বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত। তার বাবার নাম রুস্তম আলী।
– রুবিনা রিমির স্বামী মো. স্বপন মিয়ার সঙ্গে থাকতেন কদমতলী উত্তর মুরাদপুর হাজি লাল মিয়া রোডে।
– মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ছবি দেখে সন্দেহ হলো, পরবর্তীতে তার স্বামী রুবিনার মৃত্যুর জন্য সন্দেহ প্রকাশ করেন।
**মুসকান মিম**:
– মুসকান মিমের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পূর্বপানপট্টি গ্রামে অবস্থিত। তার বাবার নাম ফরিদ হাওলাদার।
– মুসকান মিম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ছিলেন এবং একা থাকতেন গুলশানের একটি বাসায়।
– তার ভগিনীপতি মো. আলআমিনের তথ্যানুযায়ী, মুসকান অনেক পেটব্যথা বলে জানিয়ে বাসায় গেছিলেন। পরবর্তীতে মৃত উদ্ধার
হয় এবং চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
**তদন্ত ও অবস্থানিক অবস্থা**:
– এই তিনটি ঘটনার সম্পর্কে অবস্থানিক পুলিশ বিস্তারিত তদন্ত করছে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মহত্যা করে নিজেকে জড়িয়ে নেয়ার সম্ভাবনা উচিত হলেও, তাদের সম্পর্কে সন্দেহজনক অংশগুলোও পরীক্ষা হচ্ছে।
– মরদেহগুলো উদ্ধার করে তা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে এবং পুলিশ এই ঘটনার সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত করছে।