পিরিয়ড না হলে কি করবো?

D. Dr. Badol sikder

আপলোডের সময় : সোমবার, জুলাই ২৯, ২০২৪,

মাসিক না হলে যে ওষুধ খাবেন।

পিরিয়ড না হলে কী খাওয়া উচিত? স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মাধ্যমে স্বাভাবিক ঋতুচক্র ফিরিয়ে আনুন

পিরিয়ড না হওয়া অনেক নারীর জন্যই একটা চিন্তার বিষয়। এই ব্লগ পোস্ট এ আমরা আলোচনা করব যে নিয়মিত মিন্স না হলে আপনি কি ওষুধ সেবন করবেন, এবং প্রকিতিক ভাবে কিভাবে আপনার মিন্স/ মাসিক/ পিরিয়ড নিয়মিত করবেন। অনিয়মিত ঋতুচক্রের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ওজন বৃদ্ধি, অতিরিক্ত ব্যায়াম, চাপ, বা কোনো অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা।

আপনার ঋতুচক্র স্বাভাবিক রাখতে এবং অনিয়মিততার সমস্যা দূর করতে সঠিক খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই ব্লগে আমরা জানবো, পিরিয়ড না হলে কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এবং কীভাবে খাদ্যের মাধ্যমে আপনার ঋতুচক্রকে স্বাভাবিক রাখতে পারেন।

পিরিয়ড নিয়মিত করতে কী খাবেন?

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: আয়রন শরীরে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে এবং ঋতুস্রাব স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- উদাহরণ: পালং শাক, চুকন্দর, বীজ, শুকনো ফল, মাংস, মাছ ইত্যাদি।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন সি আয়রন শোষণে সাহায্য করে।
- উদাহরণ: কমলালেবু, লেবু, কাঠাল, স্ট্রবেরি ইত্যাদি।
জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার: জিঙ্ক হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং ঋতুচক্র নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- উদাহরণ: কুমড়ো বীজ, তিলের বীজ, অঙ্কুরিত দানা, মাংস, মাছ ইত্যাদি।
অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার:
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড: স্যামন, টুনা, বাদাম, বীজ ইত্যাদি
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: পুরো শস্য, ফল, শাকসবজি
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: দুধ, দই, বাদাম, মাংস, মাছ, বিন ইত্যাদি

এক মাস ধরে পিরিয়ড হচ্ছে না, কি ওষুধ খাবো

আপনার যদি ১/২ মাস মিন্স না হয় তাহলে আপনি নিচের ওষুধ গুলা সেবন করতে পারেন, তবে না বুঝে খাবেন নাহ , দরকার হলে ফ্রিতে আমাদের ডাক্তার এর সেবা নিন।

মাসিক না হলে যে ওষুধ খাবেন।

Tab- Gynocosid এই ট্যাবালেট না পেলে Tab-Normens

1+0+1 ২১ দিন খাওয়ার পর মিন্স হবে এবং মিন্স এর ৫ দিন পর থেকে আবার খাওয়া শুরু করবেন। এইভাবে ৩/৪ চক্র খাবেন।

Tab- Zif-A

1+0+0 সকালে একটা করে ১ মাস খাবেন।

Tab- Zovia Gold

0+0+1 রাতে একটা করে ১ মাস খাবেন।

Cap-Progut 20mg

1+0+1 সকালে ও রাতে একটা করে ১৫ দিন খাবেন।

Inj- Menstrogen

যদি আপনার ৩ মাস এর বেশি ধরে আপনার মাসিক বন্ধ থাকে তাহলে আপনি এই ইঞ্জেকশন নিবেন গভির মাংসপেশিতে, আপনি নিজে নাহ নিয়ে কোন প্ররদরশি লোক দিয়ে নিবেন, প্রতি সপ্তাহে ১ টা করে ৪ বার।

কোন খাবার এড়াবেন?

প্রক্রিয়াজাত খাবার: এগুলোতে অতিরিক্ত চিনি, নুন এবং প্রিজারভেটিভ থাকে, যা হরমোনকে প্রভাবিত করে। ক্যাফেইন: চা, কফি, কোলা ইত্যাদি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় অতিরিক্ত পরিমাণে পান করা ঋতুচক্রকে বিঘ্নিত করতে পারে। অ্যালকোহল: অ্যালকোহল হরমোনকে প্রভাবিত করে এবং ঋতুচক্রকে অনিয়মিত করে তুলতে পারে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন বা অনেক কম ওজন হরমোনকে প্রভাবিত করে এবং ঋতুচক্রকে বিঘ্নিত করতে পারে।
ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের জন্য উপকারী, তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম ঋতুচক্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
চাপ ব্যবস্থাপনা: মানসিক চাপ ঋতুচক্রকে অনিয়মিত করে তুলতে পারে। যোগা, ধ্যান ইত্যাদি চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হরমোন স্তরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

মনে রাখবেন: খাদ্যের পাশাপাশি অন্যান্য জীবনযাত্রার পরিবর্তনও ঋতুচক্র স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করতে পারে। যদি আপনার ঋতুচক্র অনিয়মিত হওয়ার সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

পিরিয়ড না হলে কি কি সমস্যা হয়

পিরিয়ড না হওয়া বা অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়া নারীদের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা। এটির পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে এবং এর ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পিরিয়ড না হওয়ার কারণে যেসব সমস্যা হতে পারে:

প্রজনন সমস্যা: পিরিয়ড না হওয়া প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং গর্ভধারণে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। হরমোনজনিত সমস্যা: পিরিয়ডের অনিয়মিততা সাধারণত হরমোনজনিত সমস্যার লক্ষণ। এটি থাইরয়েড সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) ইত্যাদির লক্ষণ হতে পারে। ওজন পরিবর্তন: অতিরিক্ত ওজন বা অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া দুই ক্ষেত্রেই পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ পিরিয়ডের অনিয়মিততার একটি সাধারণ কারণ। পুষ্টির অভাব: পুষ্টির অভাব, বিশেষ করে লোহা এবং ভিটামিন ডি-এর অভাব পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়ার কারণ হতে পারে। অন্যান্য রোগ: কিছু রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ ইত্যাদি পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়ার কারণ হতে পারে। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে।